হ্যালো বন্ধুরা আপনার হয়তো একটি জিনিস অবশ্যই খেয়াল করেছেন, যে ম্যাক্সিমাম মেয়েরাই খারাপ ছেলেদেরকেই পছন্দ করে। অর্থাৎ যে ছেলেরা মেয়েদেরকে শুধুমাত্র ব্যবহার করে বা মেয়েদের সঙ্গে জাস্ট টাইম পাস করে। এমন ছেলে মেয়েরা বেশি পছন্দ করে। অথচ যে ছেলেটা অনেক ভালো এবং মন থেকে সত্তিকারের ভালবাসতে চায় তাদেরকে পছন্দই করে না। অর্থাৎ ভালো ছেলেরা সিঙ্গেল মেয়ে তো খুঁজেই পাইনা আর বাই চান্স পেয়ে গেল মেয়েটি বলে তুই আমার অনেক ভালো ফ্রেন্ড। আর আমি এভাবেই সবসময় তোর বন্ধু হয়ে থাকতে চাই। রিলেশনের কথা বলে ফ্রেন্ডশীপটা দয়াকরে নষ্ট করিস না। আবার অনেকে বলে দেখ তুই আমার থেকে অনেক ভালো ছেলে। আমার থেকে অনেক বেটার মেয়ে ডিজার্ভ করিস আমি তোর যোগ্যই না। কিন্তু ভাই তাকে কি করে বোঝাবে যে তার থেকে ভালো মেয়েরা তো আরো বেশি খারাপ ছেলেদের প্রেমে পড়বে। তো যাই হোক না কেন প্রশ্ন তো এটাই আসে যে এ মনটা কেন হয় ? কেন এমনটা হয় যে সত্যকারের ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য সেই ছেলেটি ভালোবাসা পায় না। আর যে ছেলেটি মেয়েটিকে ব্যবহার করতে চায় সে ভালোবাসা তো পাই আর তার সঙ্গে বাকি সব পায়। আর আপনার প্রশ্ন যদি এটাই হয়ে থাকে ! তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন আপনার জন্যই তো প্রতিবেদন টি একদম শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন।
1. ULTIMATE FREEDOM মেয়েরা ভালো মনের ছেলেদের কাছে ইমপ্রেস না হয়ে, খারাপ মনের ছেলেদের কাছে বেশি ইমপ্রেস হয়। কারণ খারাপ ছেলেরা মেয়েদেরকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয় তাকে কখনো কোনো কিছুর ব্যাপারে মানায় করে না। মেয়েটি ভাল খারাপ যাই করুক না কেন কিছুতেই সে নাক গলায় না। বরং মেয়েটির যে কোন অভ্যাস যে কোনো আচরণ বা যেকোনো কাজেই তাকে প্রশংসা করে। সেটা হাজার খারাপ কাজ হতে পারে তবুও প্রশংসা করে সে মেয়েটির মন জয় করে ফেলে। তাদেরকে কোনো নিয়ম-কানুন বাধানিষেধের জালে বন্দী করে রাখেনা। করণ যে ছেলেটি মেয়েটিকে ব্যবহার করতে চায় তারা কখনোই কিছু যায় আসে না যে মেয়েটি কোনো ভালো কাজ করলো নাকি কোনো খারাপ কাজ করলো। তাদের উদ্দেশ্য থাকে যে কোনোভাবে মেয়েটিকে পাওয়া এবং ব্যবহার করে জীবনের মজা নেওয়া। যেমনটি হয় বন্ধুদের কাজে গিয়ে দেখানো, যে আমি ওই মেয়েটার সাথে ওই করেছি, এই করেছি, আমার এতগুলো গার্লফ্রেন্ড আছে, আর বাকিটা তো আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন। আর খারাপ ছেলেদের এই দিকটাই মেয়েদেরকে ঘায়েল করে। কিন্তু যখন কোনো ভালো ছেলে কোন মেয়েকে ভালোবাসে মন থেকে সত্যিকারে ভালোবাসে। আর তার ফলে কি হয় মেয়েটির ভালো-মন্দের চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মেয়েটি কোন খারাপ ছেলের সঙ্গে মিশলেই অবশ্যই সে বারণ করে। তারপরও খারাপ অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ার জন্য মেয়েটিকে বলে। আর মেয়েটির খারাপ দিক গুলো শুধরে নিয়ে তাঁকে ভালো করার চেষ্টা করে। তার নিজের ঠিক ঠিক-ভুল গুলো তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়। মুখের উপর বলে দেয় যে তোমার এটা আমার খারাপ লাগে বা আমার এটা পছন্দ নয়। আর তারপর ঐ ছেলেটি তাদের ফিউচার এর কথা ভেবে মেয়েটিকে কিছু নিয়ম কানুনের বেড়াজালে আটকে দেয়। যার ফলে ওই মেয়েটির তখন এটা মনে হতে শুরু করে যে তার স্বাধীনতা কম হয়ে যাচ্ছে এবং সম্পর্কটা তার অসহ্য কর মনে হতে শুরু করে। কারন কোন মেয়েটা সহ্য করতে পারে না যে কেউ তার স্বাধীনতা কেড়ে নিক কেউ তার উপর বেশি অধিকার দেখাক। কেউ তার কোনো কিছু নিয়ে প্রশংসা না করে বরং সর্বদা রাগ করুক। কেউ তার কোন কিছু প্রশংসা না করে, নিয়মের বেড়াজালে আটকে দিক, যেমনটা অলরেডি তার বাবা-মা ও করে থাকে। তাই সঠিক এ রকমই তৃতীয় কাউকে তার লাইফে কখনোই চায়না।
2. খারাপ ছেলেদের বিশেষ কিছু গুন রয়েছে যেগুলো সব মেয়েরাই পছন্দ করে। যেগুলোর কারণে তারা খুব সহজেই মেয়ে পটাতে পারে। যেমন ধরুন খারাপ ছেলেরা বেশি চঞ্চল হয়ে থাকে। তাই তারা যে কোনো মেয়ের সঙ্গে হুট করে কথা বলতে পারে এবং তাদের কথার জালে ফাসাতে পারে। কিন্তু ভালো ছেলেরা কখনোই পারেনা। খারাপ সবাই মিষ্টি কথা ভালোই বলতে পারে মেয়েদের সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে খুব সহজে মেয়েটির মনে জায়গা করে নিতে পারে। আর এরা মিথ্যা কথাও খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে পারে। আর এতে যে কোন মেয়ে খুব সহজেই ফিদা হয়ে যায়।
3.Open-Minded খারাপ ছেলেরা ওপেন মাইন্ডের হয়ে থাকে অর্থাৎ লাজ-লজ্জা কিছু থাকেনা। এদের যে খারাপ ব্যবহার বা খারাপ আলোচনা মেয়েদের সাথে ফ্রি মাইন্ডে করতে পারে। তাই মেয়েরা এমন ছেলেদের সঙ্গে কোন কথা ফ্রি-মাইন্ডে বলতে পারে। আর খারাপ ছেলেদের এই ব্যাপারটি ম্যাক্সিমাম মেয়েরা পছন্দ করে। কিন্তু অপরদিকে ভালো ছেলেরা মেয়েদের সাথে ফ্রি মাইন্ডে কথা বলতে পারে না। যার ফলে ভালো ছেলেদের কাছে মেয়ে পটে না।
আরও পড়ুন:ভারতীয় মেয়েদের এই গোপন কথাগুলি কেউ আপনাকে বলবে না !
4.খারাপ ছেলের অনেক রসিক বা মজাদার হয়ে থাকে এরা সারাক্ষণ মেয়েদের সাথে হাসি মজা করে কথা বলে। মেয়েদের সাথে অনেক মজা করতে যানে। এরা মেয়েদেরকে সারাক্ষণ এন্টারটেইন করে। আর এটা তো সবাই জানে যে এটা মেয়ে পটানোর মূলমন্ত্র। কিন্তু ভালো ছেলেরা মেয়েদের সাথে মজাদার কথা বলা তো দূরে থাক এরাতো মেয়েদের সাথে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। তাহলে মেয়ে পড়বে কি করে।
5. খারাপ ছেলেরা মেয়েদেরকে যেকোনো বিষয়ে প্রশংসা করে মন ভোলাতে এক্সপার্ট। আপনারা সবাই জানেন যে মেয়েদেরকে প্রশংসা করলে খুব সহজেই তাদের মন জয় করা যায়। কিন্তু প্রশংসা করার সব ছেলেরা না পারলেও খারাপ ছেলেটা তো ভালই করতে পারে। ফলে তারা খুব অল্প সময়ে যে কোন মেয়েকে ইমপ্রেস করে ফেলতে পারে।
6. এরা সবসময় নতুন নতুন পোশাক পরে বাবা-মায়ের টাকা উড়িয়ে স্টাইলিশ ভাবে চলাফেরা করে। এদের চুলে আচরনে কথাবার্তায় অনেক স্টাইল থাকে। যেটার কারনে খুব সহজে মেয়েদের নজর কাড়ে। কিন্তু ভালো ছেলেরা কোন নজর কাড়া স্টাইলে চলে না বা তাদের কথাবার্তায় পোশাকে সেই ব্যাপারটি না থাকায় এরা মেয়েদের নজর কাটতে পারে না। ফলে মেয়েদের নজর এর আড়ালেই সারাজীবন সিঙ্গেল থেকে যায়।
7. খারাপ ছেলেদের বন্ধু-বান্ধবী অনেক বেশি থাকে। অনেক মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করে, চলাফেরা করে, এরা অনে ফ্রি মাইন্ডে আড্ডা দেয় এগুলো থেকে যে কোন মেয়ে এটা ভেবে নেয় যেহেতু এত ছেলে মেয়ে তার সঙ্গে ঘরে তাকে পছন্দ করে তাকে বিশ্বাস করে তার মানে সে নিশ্চয়ই ভালো ছেলে, বিশ্বাস করার মতো ছেলে। তখন যেকোনো মেয়ে ছেলেকে বিশ্বাস করে এবং তার সঙ্গে অবাধে মিশতে শুরু করে। আর এসব কারণেই মেয়েরা ভালো ছেলেদের কে রেখে ভুল করে খারাপ ছেলেদের ফাঁদে পা দেয়। কিন্তু তারপর কি হয় খারাপ ছেলেরা খুব সহজেই মেয়েদেরকে পটিয়ে তাদের কে ইউজ করে ছেড়ে চলে যায়। আর মেয়েরা যখন সব ছেলেরাই খারাপ সব ছেলেরা একই রকম এই দেশগুলি দিয়ে সারা জীবনই কেঁদে বেড়ায়। কারণ অন্যদিকে ভালো ছেলেরা সত্যি কারের ভালোবাসা বুকে নিয়ে গার্লফ্রেন্ড ছাড়াই দিন কাটায়। আর এটাই বাস্তব শতকরা 70% মেয়েরাই ভুল ছেলেদের প্রেমে পড়ে ধোকা খেয়ে জীবন নষ্ট করে আর দোষ দেয় পুরো পুরুষ জাতির উপর।
সবশেষে আমি আপনাদেরকে এটাই বলব যে তুমি একজন সিঙ্গেল ছেলে হয়ে থাকো তাহলে প্রতিবেদনটি সেই সব মেয়েদের মধ্যে অবশ্যই শেয়ার করো যারা অলরেডি খারাপ ছেলেদের চক্করে পড়ে গেছে। বা এখনো সিঙ্গেল রয়েছে। যাতে সে এমন ভুল কখনোই না করে। আর মেয়েদেরকে তো এটাই বলব যে ফ্রিডম দেওয়া মানেই যে ভালবাসা সেটা কখনোই মনে করা ঠিক না। আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি আপনার বেশি কেয়ার করে আর আপনার খারাপ গুণ গুলো চেঞ্জ করতে চায় সেটা আপনাদের ফিউচার ভালোর কথা ভেবেই করছে। তাই সর্বদা আপনার বয়ফ্রেন্ড বা আপনার পার্টনারকে বোঝা উচিত আপনাদের ফিউচার এর কথা ভাবা উচিত। তবে আপনারা দুজনেই সারাজীবন সুখী থাকতে পারবেন। তো আশা করছি আপনাদেরকে বুঝাতে পারলাম যে আমি কি বলতে চাইছি।
আরও পড়ুন:মানুষের মনকে জিতে নিন এই ৩টি সহজ উপায়ে !
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন